রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১১

সরকারের পদত্যাগ দাবি করলেন খালেদা জিয়া


সরকারের পদত্যাগ দাবি করলেন খালেদা জিয়া
altঢাকা ডেস্ক :: রোববার রাতে গুলশান কার্যালয়ে রোববার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রয়াত অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামের স্ত্রী ও ছেলে ।
বিরোধী দলের নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আবারও সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন। রোববার রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গুলশানের কার্যালয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের নেতারা দেখা করতে গেলে তিনি এ দাবি জানান। এর আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে লক্ষ্মীপুরের প্রয়াত বিএনপি নেতা নুরুল ইসলামের স্ত্রী রাশেদা ইসলাম সাক্ষাৎ করেন।
মহাজোট সরকারের পদত্যাগ দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সহায়তায় তারা ক্ষমতায় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই তা স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেন বিরোধী দলের নেতা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেই পরিষ্কার হয়েছে, তারা কাদের সহায়তায় ক্ষমতায় এসেছেন। তাদের ক্ষমতায় আনতে কী ভাবে ব্যালট ও ভোটবাক্স আনা হয়েছে, তা এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে।
বিপ্লবের সাজা মওকুফের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, প্রচলিত আইনে আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিপ্লবকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা আইনের শাসনের পরিপন্থী বলে অভিযোগ করে তিনি। তিনি আরও বলেন, বর্তমান
সরকার গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করতে চাইছে। সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির খবর প্রকাশ করায় অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বালিত করে দিচ্ছে। সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক হিসেবে অভিহিত করে খালেদা জিয়া বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে, তারা ভিন্নমতকে মেনে নিতে পারে না। সরকারের দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললেই নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। রাজনীতিবিদ, চাকরিজীবী, সাংবাদিক_ কেউ এদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ পরিস্থিতির মোকাবেলা করার আহ্বান জানান তিনি। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যেসব সংবাদপত্রের ওপর আক্রমণ হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন বেগম জিয়া।
ডিইউজে সভাপতি আবদুস শহিদ তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকারের আড়াই বছরে আট সাংবাদিক খুন হয়েছেন। চ্যানেল ওয়ান বন্ধ করা হয়, আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অনেক সাংবাদিককে কারাগারে নেওয়া হয়েছে। যমুনা টেলিভিশনকে প্রচারে আসতে দেওয়া হয়নি। এসব বিষয়ে তিনি বিরোধীদলীয় নেতার দৃষ্টি আর্কষণ করেন।
মতবিনিময় সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য এম শামছুল ইসলাম, ডিইউজে সভাপতি আবদুস শহিদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ছড়াকার আবু সালেহ, সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার, শাহ আহমদ রেজা, সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক অলিউল্লাহ নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, প্রচার সম্পাদক এমএ নোমান, সদস্য আমিনুল মোমিন মানিকসহ সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন