রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১১

পেশাজীবীদের মানববন্ধনে মাহমুদুর রহমান : এমইউ আহমেদের স্থায়ী ক্ষতি হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হবে


পেশাজীবীদের মানববন্ধনে মাহমুদুর রহমান : এমইউ আহমেদের স্থায়ী ক্ষতি হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হবে

স্টাফ রিপোর্টার
পুলিশি নির্যাতনের শিকার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমইউ আহমেদের স্থায়ী কোনো ক্ষতি হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব কম্পাউন্ডে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এ ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রতিবাদ ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সংস্কার দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ মানববন্ধন ও পেশাজীবী সমাবেশের আয়োজন করে।
প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান বলেন, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমইউ আহমেদকে পুলিশ অমানুষিক নির্যাতন করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। এর দায় কেবল ঘটনায় জড়িত অতিউত্সাহী পুলিশ কর্মকর্তারা নয়, সরকারকেও নিতে হবে। তিনি বলেন, দেশে এখন নাগরিকদের বেঁচে থাকার নিরাপত্তা নেই। ধারাবাহিকভাবে পুলিশের হাতে জনগণ নির্যাতিত হচ্ছেন। এমইউ আহমেদ রাষ্ট্রীয় নির্যাতনে এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। তার স্থায়ী কোনো ক্ষতি হলে এর দায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিতে হবে। এ জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করারও ঘোষণা দেন তিনি।
ঈদ সামনে রেখে জনদুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে মাহমুদুর রহমান বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় গ্রামের বাড়িমুখো মানুষ পরিবারের সঙ্গে ঈদ করা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। রাজধানী থেকে অনেক জেলা শহর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। জনগণের ক্ষুধা নিয়ে সরকারের মন্ত্রীরা উপহাসে মত্ত। গণমানুষের চাহিদা পূরণে কোনো উদ্যোগ নেই। প্রতিবাদ রুখতে সরকার অত্যাচারীর ভূমিকায় রয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, অত্যাচার অব্যাহত থাকলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পেশাজীবীরা রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।
ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, পুলিশ এখন কেবল রাজনৈতিক নেতাদের নির্যাতনে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমিনবাজার, কোম্পানীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা প্রমাণ করে সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ। গণতান্ত্রিক সভ্য সমাজে এ ধরনের বর্বরতা ঘটতে পারে না। আমরা সুষ্ঠু ও নিরাপদ জীবন চাই। আর এ জন্যই পেশাজীবীরা রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব চাষী নজরুল ইসলাম, ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. খলিলুর রহমান, সাবেক মন্ত্রী নূর মোহাম্মদ খান, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাবেক সচিব প্রকৌশলী আ.ন.হ আখতার হোসেন, ব্যারিস্টার হায়দার আলী, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স-বাংলাদেশ-এর সদস্য সচিব প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, সহকারী মহাসচিব জাকির হোসেন, ছড়াকার আবু সালেহ, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. আবদুল কুদ্দুস, ডা. মোস্তাক আহমেদ, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, প্রকৌশলী মুয়ীদ রুমী, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জুয়েল, ওমান বিএনপির সভাপতি মাহবুব চৌধুরী প্রমুখ।
  • মহানগর

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন