বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১১
::Welcome to Daily Naya Diganta::
মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১১
বাংলা সাহিত্যে ছড়া: একটি প্রাসঙ্গিক ভাবনা
বাংলা সাহিত্যে ছড়া: একটি প্রাসঙ্গিক ভাবনা
শিশু এবং কিশোর দু’টি আলাদা শব্দ হলেও আমরা অনেক সময় ‘শিশু-কিশোর’ বলে তাদের একত্রিত করে ফেলি ৭/ ৮ বছর বয়সের একটি শিশুর মনমানসিকতা আর ১৩/১৪ বছর বয়সের একটি মন মানসিকতা কখনোই সমান হতে পারে না। অথচ আইনের দৃষ্টিতে অভ্যস্থ হয়ে আমরা সাধারণত: ১৮ বছরের কম বয়সী সবাইকেই শিশু মনে করে থাকি। অনেক গল্প উপন্যাস কিংবা সিনেমা নাটকে ১৮+ বলে সতর্ক বাণী উচ্চারণ করা থাকে যাতে পাঠক মাত্রই বুঝতে পারে এটা প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য। বয়স দিয়ে শিশু এবং কিশোরের সীমারেখা আলাদা করা বেশ জটিল। সংস্কৃত শ্লোকে ছেলেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত লালন, দশ বছর পর্যন্ত তাড়ন এবং ষোল বছর প্রাপ্তিতে বন্ধুর মতো আচরণ করতে বলা হয়েছে। ইসলাম ধর্মে সাত বছর বয়সে শিশুকে নামাজ পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে এবং দশ বছর থেকে নামাজ পড়ার ব্যাপারে কড়াকড়ি করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে রবীন্দ্র-শরৎচন্দ্র প্রমুখ পন্ডিতগণ তেরো- চৌদ্দ বছরের ছেলেকে কিশোর বলেছেন। সবমিলিয়ে আমরা বারো বছর পর্যন্ত ‘শৈশব’ এবং তেরো থেকে উনিশ বছর পর্যন্ত ‘কৈশোর’ বলতে পারি। ইংরেজিতেও থারটিন টু নাইনটিন বয়সীদের ‘টিনেজার’ বলা হয়ে থাকে। ছড়ার ছন্দাশ্রিতা কিশোর কবিতাগুলো তাই মূলত: এই টিনেজারদের জন্যই রচিত হয়। এগুলোকে কেউ কেউ ‘ছড়া-কবিতা’ নামেও চালিয়ে দেন। এসব ‘ছড়া-কবিতা’ বা ‘কিশোর কবিতা’ বিষয়ধর্মী ও বক্তব্য প্রধান হয়ে থাকে। তবে এসব কবিতায় ব্যবহৃত হয় ছড়ার ছন্দ। রবীন্দ্রনাথ-নজরুল কিংবা শামসুর রাহমান-আল মাহমুদের অনেক ছড়াই তাই ছড়াত্ব না হারিয়েও কবিতার মর্যাদা লাভ করেছে। যেমন- রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন- ‘ওরে সবুজ ওরে অবুঝ ওরে আমার কাঁচা/ আধ মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা’।নজরুলের ‘লিচু চোর’ কিংবা ‘ভোর হল, দোর খোল খুকুমনি ওঠ রে/ ওই ডাকে জুঁই শাখে ফুল খুকি ছোট রে’।অনুরূপ ভাবে শামসুর রাহমান ও আল মাহমুদের অনেক লেখাই একদিকে ছড়া, অন্যদিকে কবিতা।
‘ছড়া নয় পানি পড়া/ নয় কোন মাদুলী,/ সে তো নয় ভিখারীর/ আনা সিকি আধুলি।/ ছড়া বয় রক্তের কণাতে/ অপমানে ফুঁসে ওঠে ফণাতে।/ অনলস সংগ্রামী আশাতে/ এক জোট মানুষের ভাষাতে,/ ছড়া তাই ঘরে ঘরে বিপ্লব/ অগ্রণী জনতার উৎসব’।
আজকাল অনেকেই ছড়াকে হালকা করে দেখেন। গদ্য কবিতা লিখে রাতারাতি কবিখ্যাতি পাওয়াটাই হয়তো তাদের লক্ষ্য। অনেকেই দেখা যায় শুরু করেন ছড়া দিয়ে কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছড়ার সাথে সম্পর্কটা ধরে রাখেন না। ফলে তাঁদের অনেককেই ‘ছড়াকার’ কিংবা ‘কবি’ কোন উপাধিতেই সম্বোধন করা যায় না! আবার অনেককেই ইদানিং গদ্য কবিতার মতো ‘গদ্য ছড়া’ রচনার প্রয়াস চালাতে দেখা যায়। তাদের এসব প্রচেষ্টা দেখে হাসি পায়। ছন্দমিলই যদি না থাকে তাহলে ‘ছড়া’ হবে কি করে? বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে কবিতার পাশাপাশি তাই ছড়াও একটি অনিবার্য শাখা বা মাধ্যম হওয়া উচিত। ছড়াকে কোন অবস্থাতেই হালকা করে দেখা উচিত নয়। একটি স্বার্থক, কালজয়ী ছড়া লিখতে পারা শত শত ব্যর্থ কবিতা লেখার চেয়েও উত্তম।
একই ভাবে নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শাহাবুদ্দীন নাগরীর কণ্ঠ উচ্চকিত হয় এভাবে- ‘এইতো সেদিন, দিব্যি দেখি/ নয়কো বেশি দূর,/ জাগিয়েছিল এ জাতিকে/ আসাদ মতিউর।.. ../ স্বাধীকারের প্রশ্ন এলে/ রাজপথে ফের দাঁড়াই ঠেলে,/ বুলেট গুলির সামনে হৃদয়/ করে না দুর দুর,/ আকাশ সমান সাহস যোগায়/ আসাদ-মতিউর’।
ছড়াকার আবু সালেহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে তাঁর ছড়া নিয়ে রাজপথে ছিলেন! দেখুন তাঁর স্বৈরাচার বিরোধী উচ্চারণ- ‘এগিয়ে যাওয়া/ পিছিয়ে যাওয়া/ দাঁড়িয়ে থাকা নিরবে,/ এমন হলে আন্দোলনের/ মিছিল বলুন কি রবে?/ .. ..এ অবস্থা নিরসনে/ নেতৃবৃন্দ ভাবলে,/ স্বৈরশাসক পারবে না তো/ মাংস নিতে খাবলে।/ খালেদা জিয়া নিশ্চয়ই নন/ পিছিয়ে থাকার সেনা,/ সময় বুঝেই ডাক যে দেবেন/ মুষ্ঠি তুলে নে না।’
একেবারে সাম্প্রতিক সময়ের কিছু উদাহরণ দেখেন। সড়ক দুর্ঘটনা যখন আমাদের একটি জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে তখন যোগাযোগ মন্ত্রীর উদাসীনতা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা শুনে কোন ছড়াকারই চুপ থাকতে পারেন না। তাইতো বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ছড়াশিল্পী লুৎফুর রহমান রিটন ফেসবুকে শেয়ার করলেন তাঁর সদ্য বানানো ছড়া-‘দেশের মানুষ কাঁদছে যখন আবুল তখন হাসে/ মর্যাদাহীন লোকটা শুধু টাকাই ভালবাসে।/ সড়ক জুড়ে মড়ক তবু আবুল কি তা মানে?/ মন্ত্রীত্ব টিকিয়ে রাখার মন্ত্র সে ঠিক জানে!/ হাসিনাকে ডুবিয়ে দিতে আবুল একাই একশ/ হাপিস করতে পটু আবুল জনগণের ট্যাকশ../ দেশের মানুষ ভোগান্তিতে ফুঁসছে মানুষ রাত দিন/ দোহাই লাগে শেখ হাসিনা আবুলটাকে বাদ দিন।/ শেখ হাসিনার পাশে/ ফাইল বগলে স্যুটেড-ব্যুটেড ব্যর্থ আবুল হাসে!’
লিমন নামের এক কিশোরকে গুলি করে পঙ্গু করে দিয়েছে র্যাব। করেছে তাকে সন্ত্রাসী বানানোর অপচেষ্টা। অন্য সকল মাধ্যমের মতো ছড়াও বসে নেই। দেখুন বর্তমান সময়ের ব্লগ সাহিত্যে বিচরণকারী ছড়াকার মাহফুজ মেহেদী কি বলছেন- ‘চোর ডাকাতের যন্ত্রণাতে/ শান্তি যাতে না হারায়,/ সে কারণেই বাড়তি কিছু/ লোক রেখেছি পাহারায়।/ অস্ত্র দিছি অর্থ দিছি/ শক্তি দিছি যাহাতে,/ সত্য পথে থাকে এবং/ কিছুই না নেয় বাঁ হাতে।/ তারপরেও আজকে কেন/ লিমন হলো পা হারা?/ এই কথাটার জবাবটা যে/ দিতেই হবে সাহারা।’
এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের ছড়া সাহিত্য। এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে, আন্দোলন-সংগ্রামে, বিক্ষোভে-বিদ্রোহে আবার শান্তি ও সাম্যতেও। একমাত্র ছড়াতেই তো এভাবে বলা সম্ভব- ‘ছড়া আছে বিজয়ের মালাতে/ গরীবের ভাত চাওয়া থালাতে../ বদলাতে জানে ছড়া দিনকে/ ছড়া শোধ করে দেনা, ঋণ-কে!/ ..ছড়া দেখ সবদিকে ছড়ানো/ বৃক্ষের পাতা ডালে জড়ানো../ ছড়া আছে মানিব্যাগে, পকেটে/ ঘুরে ছড়া বিমানে ও রকেটে!/ ছড়া আছে রাজপথে রাজনীতি চর্চায়/ ছড়া শুধু শান্তি ও আরামের ঘর চায়!../ ছড়া তাই বিজয়ের পতাকা/ পতাকায় জনতার মত আঁকা।’
সুশীল সমাজের তারা আজ কোথায়?: মির্জা ফখরুল
সুশীল সমাজের তারা আজ কোথায়?: মির্জা ফখরুল
ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপি নেতা বলেন, দেশের ৫৪টি নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ করে বাংলাদেশকে পরিবেশ বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভারতে আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ মরুভূমি হয়ে যাবে।
এদিকে গতকাল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হরতালে এফডিসির গেটে জাসাসের মিছিলে অংশ নেয়া শিল্পী-সাহিত্যিকদের ওপর হামলাকারী পুলিশের শাস্তি ও গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন।
লিখিত বক্তৃতায় জাসাস সভাপতি এম এ মালেক বলেন, গত ১২ জুন হরতাল চলাকালে তেজগাঁও এফডিসি গেট থেকে শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, নাট্য ও চলচ্চিত্র শিল্পীদের নেতৃত্বে একটি মিছিল কাওরান বাজারের দিকে যাওয়ার সময় হোটেল সোনারগাঁও-এর সামনে বিনা উস্কানিতে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, জাসাস সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক মনির খান, ছড়াকার আবু সালেহ, সঙ্গীত শিল্পী হাসান চৌধুরী, বেবী নাজনীন, রিজিয়া পারভিন, অভিনেতা অমিত হাসান, গীতিকার মনিরুজ্জামান মনিরসহ অনেক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও
ছড়াকার আবু সালেহ
ছড়াকার আবু সালেহ
আলম তালুকদার
তেলের শিশি ভাঙ্গলো বলে/খুকুর পরে রাগ করো/তোমরা যেসব বুড়ো খোকা ভারত ভেঙ্গে ভাগ করো! তারবেলা?
ছড়াটি পাঠ করলে বা শুনলে অনেকেই এক সেকেন্ড দেরি না করে বলে দেবে অন্নাদাশঙ্কর রায়ের ছাড়া।
ঠিক তেমনি ‘ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা।/ রক্ত দিয়ে পেলাম শালার আজব স্বাধীনতা।’ ছড়াটি উচ্চারণের সাথে সাথে ছড়া বোদ্ধারা, ছড়া রসিকজন চোখ বুজে বলে দেবেন ছড়াকার আবু সালেহ এই ছড়ার স্রষ্টা।
সবাই ছড়াকার নয়। কেউ কেউ ছড়াকার।
আবার সব ছড়াই ছড়া নয়, দু-একটি ছড়াই ছড়া হতে পারে।
ছড়াকার আবু সালেহ অনেক ভালো ছড়া লিখেছেন, এখনো লিখে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি ওই ছড়াটিকে অতিক্রম করে আরো কিছু ছড়া আমাদের উপহার দিতে পারবেন কি না এটা একটা প্রশ্ন বটে।
‘ছড়াকার” এই যে শব্দটি এই শব্দটিকে বিস্তার করে একটা সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করার অগ্রনায়ক হিসেবে আবু সালেহকে অনেকেই চিহ্নিত করে থাকেন। তিনি লিখে আসছেন ষাটের দশক থেকে।
পারিবারিক আবহ ছিল তার অনুকূলে। পল্টনের ছড়া তাকে খ্যাতির শিখরে আসীন করে। এ পর্যন্ত তিনি ৬০টির অধিক ছড়াগ্রন্থ রচনা করেছেন। তিনি নিরন্তর চলমান ছড়াকার। যেকোনো বিষয়ের ওপর লিখতে পারঙ্গম। তবে রাজনৈতিক, সমসাময়িক বিষয়কে নিয়ে তার কলম বেশি রকম শাণিত।
তিনি একজন সংগঠক, একজন সাংবাদিক, একজন উপস্খাপক রাজনীতিসচেতন আধুনিক ছড়াকার। অধ্যাত্মিক জগতেও তার বিচরণ আছে। তার বাবা একজন বিখ্যাত আলেম এবং পীর ছিলেন। ইদানীং তিনি আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে লেখালেখি করছেন। যেমন
‘তোমার প্রেমে দিনে রাতে করি আহা উহু
জাল্লা জালালাহু
হর হালতে জিকির করি মুর্শিদের ঐ পাগড়ি ধরি
দেহ মনে জারি থাকে আল্লাহু আল্লাহু।’
ছড়াকার হিসেবে তিনিই প্রথম একাডেমী এবং একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন। তিনি অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কারসহ এ পর্যন্ত শতাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। সাহিত্য পত্রিকা, পূর্বাচল, আগামীতে মধুমাস, মায়ের ছড়া ইত্যাদি সম্পাদনা করেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য ছড়াগ্রন্থ হলো, পল্টনের ছড়া, গ্রামের নাম চৌগাছি, ধুমধাড়াক্কা তাড়িং মারিং, চিরকালের খোকা, ধোলাই ছড়া, অন্য রকম লিমেরিক, আলোকলতা দোলকলতা, হাজার লিমেরিক, খুকু যদি হাসে, কাঁচা হাতের ছড়া গড়াই গাজীর ছড়া, হাজার ছড়া বৈরী ছড়া, পাখির ঠোঁটে ছড়া, ঢাকা যদি ভালো থাকে, আবু সালেহর শিশু সমগ্র-১ ইত্যাদি।
ছড়াকার আবু সালেহ এর পাঠকপ্রিয়তা ঈর্ষণীয় পর্যায়ে। তিনি বহুগুণের অধিকারী। তবে তার মুখস্খ রাখার ক্ষমতা অসাধারণ। নিজের ছড়া এভাবে কেউ মুখস্খ বলতে পারে, না শুনলে বিশ্বাস করা কঠিন বটে। এই গুণী ছড়াকারের শুভ জন্মদিন আগামী ২২ জুলাই। তার জন্মদিনে একটি ছড়া দিয়েই শুভেচ্ছা জানাই।
ছড়াকার আবু সালেহ/রাজতিলক তোমার ভালে/বেঁচে থাকো কালে কালে/জীবন কাটুক ছড়ার তালে।
বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে আকাশে শকুনের আনাগোনা চলছে
বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে আকাশে শকুনের আনাগোনা চলছে
লেখক: ইত্তেফাক রিপোর্ট ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে আকাশে শকুনের আনাগোনা চলছে। দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শকুনের আনাগোনা মোকাবেলায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাসাস আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জাসাস সভাপতি এমএ মালেক।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, কবি আবদুল হাই সিকদার, জাসাস সাধারণ সম্পাদক মনির খান, সহ-সভাপতি বাবুল আহমেদ, ছড়াকার আবু সালেহ, কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, রিজিয়া পারভিন প্রমুখ।
ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিরোধী দলের চিফ হুইপকে লাথি দেয়া হয়নি। বাংলাদেশের সংসদকে লাথি দেয়া হয়েছে। আজকের প্রধানমন্ত্রীর বাবা ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য ৪র্থ সংশোধীর মাধ্যমে বাকশাল করেছিলেন। কিন্তু এদেশের মানুষ ৪র্থ সংশোধনী মানে নি। সরকার বুঝতে পেরেছে দেশের যে দুর্দশা তাতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আর ক্ষমতায় যেতে পারবে না। ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে।
তিনি বলেন, সরকার নির্বাচনের আগে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তার একটিও বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
ড. মোশাররফ বলেন, দেশকে যারা ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় করতে চায় তারা জিয়া পরিবারকে ভয় পায়। সেজন্যই দেশ থেকে জিয়ার নাম মুছে ফেলতে চায়। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আজকে শুরু হয়নি। জিয়াকে হত্যা এই ষড়যন্ত্রের অংশ।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্ম ৭২-৭৫ সালে আওয়ামী লীগের চরিত্র দেখেনি তারা এখন আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী চরিত্র দেখতে পাচ্ছে।
চাঁদপুর জাসাসের সভায় হট্টোগোল কমিটি বিলুপ্ত
চাঁদপুর জাসাসের সভায় হট্টোগোল কমিটি বিলুপ্ত
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর হ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) চাঁদপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সভা গত বুধবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের বিপণীবাগস্থ পার্টি হাউজে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলা জাসাসের সভাপতি গোলাম মো¯-ফা রতন এবং সাধারণ সম্পাদক হারুন আল-রশীদের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাসাস জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক উপ-কমিটির আহ্বায়ক বিশিষ্ট ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক মুক্তিযোদ্ধা পীরজাদা আবু সালেহ। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চট্টগ্রাম বিভাগীয় জাসাসের যে সকল কমিটি দুর্বল রয়েছে তা ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদেশে একটি টিম গঠন করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় নিক্রিয় কমিটিগুলোর কার্যক্রম কোন অবস্থায় আছে তা প্রথমে খতিয়ে দেখবো। কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লার কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ চাঁদপুরে সাংগঠনিক সভায় আমরা মিলিত হয়েছি। আমরা চাই বিরোধ বিভেদ ভুলে গিয়ে কিভাবে প্রত্যেকটি জেলায় জাসাসকে শক্তিশালী করা যায়। আপনাদের মনোকষ্ট রেখে আমরা কোনো কমিটি গঠন করতে চাই না। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক উপ-কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্র্রীয় কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক জাহাঙ্গীর শিকদার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক উপ-কমিটির সমন্বয়কারী শেখ মোঃ মহীউদ্দিন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-কমিটি ও জাসাস জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডঃ সামছুল হুদা, জাসাস জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
Av‡jvPK : wkcÖv iw¶Z `w¯—`vi, wek¦wRr †Nvl, wgRvbyi ingvb DccwiPvjK
mgš^q I Rbms‡hvM DcwefvM
evsjv GKv‡Wgx
XvKv 1000 †dvb : 8619580 d¨v· : 8612352
B-†gBj : banglaacademy.pr@gmail.com, bacademy@citechco.net I‡qe mvBU : www.banglaacademy.org.bd
cÎ msL¨v : ZvwiL : 16.02.2009
msev` weÁwß
AvR 4Vv dvêyb 1415/16B †deª“qvwi 2009 †mvgevi evsjv GKv‡Wgx Av‡qvwRZ gvme¨vcx Agi GKz‡k MÖš’‡gjvi †lvok w`b| †gjvq AvR bZzb eB G‡m‡Q 87wU Ges G ch©š— †gjvq me©‡gvU bZzb eB G‡m‡Q 1489wU| AvR‡Ki welqwfwËK eB- Mí 15, Dcb¨vm 8, cÖeÜ 9, KweZv 15, M‡elYv 3, Qov 7, wkï‡Zvl 6, Rxebx 6, gyw³hy× 1, bvUK 2, BwZnvm 6, ivRbxwZ agx©q 1 Ges Ab¨vb¨ eB 6wU| MÖš’‡gjvi cÖ_g c‡bi w`‡b evsjv GKv‡Wgxi eB wewµi cwigvY 30,67,658.40 UvKv|
we‡K‡j MÖš’‡gjvi g~jg‡Â Av‡jvPbv mfv AbywôZ nq| mfvq Ôm¤¢vebvi evsjv‡`k : QovÕ kxl©K cÖeÜ Dc¯’vcb K‡ib iv‡k` iDd Ges Ôm¤¢vebvi evsjv‡`k : wkïmvwnZ¨Õ kxl©K cÖeÜ Dc¯’vcb K‡ib Avngv` gvhnviÕ| Av‡jvPbv K‡ib wewkó wkïmvwnwZ¨K, evsjv GKv‡Wgxi †d‡jv Rbve Avey mv‡jn, wewkó QovKvi Rbve Avjg ZvjyK`vi, Rvnv½xi bMi wek¦we`¨vj‡qi evsjv wefv‡Mi Aa¨vcK Lv‡j` †nvmvBb Ges wewkó QovKvi AvbRxi wjUb| mfvcwZZ¡ K‡ib wewkó K_vmvwnwZ¨K Av‡bvqvi ˆmq` nK|
cÖvewÜK Rbve iv‡k` iDd e‡jb, evqv‡bœi fvlv Av‡›`vjb, Ebmˇii MY-Av‡›`vjb I GKvˇii gyw³hy‡×i †PZbv Avgv‡`i QovmvwnwZ¨K‡`i BwZnvm-m‡PZb K‡i Zz‡j‡Q| †mB mv‡_ Zuv‡`i iPbvq hy³ n‡q‡Q mgKvjxb ivRbxwZ cÖm½| Qov GwM‡q †M‡Q wPiKvjxb iƒc wb‡q| ivRbxwZi †fZi w`‡q KL‡bv KL‡bv AMÖmi n‡jI Zvi †fZ‡i cÖwZwµqvkxjZv ¯’vb cvqwb| wZwb e‡jb, evsjv‡`‡ki Qovi †h AwgZ m¤¢vebv i‡q‡Q, Zv c~Y©Zv cv‡e †jvKR Abyl‡½ be fveavivq| †jvKQovi Av‡jvq hw` Avgv‡`i AvaywbK Qov Av‡iv †ewk cwigv‡Y D™¢vwmZ nq, Zvn‡j Avgiv cv‡ev bZzb wVKvbv| wZwb AviI e‡jb, cÖPwjZ LuvwU †`kR Qovi m‡½ huviv hZ †ewk wgk Lv‡eb, Zuviv ZZB mdj| Qovi wPiKvjxb myi I aŸwbgvayh© huviv AvZ¥¯’ Ki‡eb Abvqv‡m, iß Ki‡eb K_¨fvlvixwZ; ZuvivB n‡eb Avgv‡`i Avengvb evsjv Qovi mdj DËivwaKvi| Zuv‡`i nv‡ZB c~Y©Zv cv‡e Avgv‡`i Qov mvwnZ¨| D‡b¥vwPZ n‡e m¤¢vebvi bZzb w`Mš—|
cÖvewÜK Rbve Avngv` gvhnvi e‡jb, ¯^vaxbZv DËiKv‡j Avgv‡`i wkïmvwnZ¨ jvf K‡i‡Q ˆewPΨgywLbZv| Rxebxg~jK eB †jLv n‡q‡Q cÖPzi| †jLv n‡q‡Q weÁvb welqK eB| ågYKvwnbxI †jLv n‡q‡Q wKQy| Qov c‡o‡Q Qwo‡q| K‡qKRb cÖwZfvevb Qov‡jLK AvaywbK Qov iPbv K‡i mvdj¨ AR©b Kivq Qovi PP©v †e‡o‡Q| wPivqZ Qovi Avw½K‡K cybM©Vb K‡i †hgb Qov †jLv n‡q‡Q †Zgwb †jLv n‡q‡Q nvm¨im Avi DBUmg„× Qov| mgvR I ivRbxwZi bvbv Am½wZ‡K e¨½ Kiv n‡q‡Q Qovq| Avevi Qov n‡q‡Q wbQK we‡bv`‡bi DcRxe¨I| †gvUK_v evsjv‡`‡ki Qovq bvbv w`K †_‡K D”Pgvb cÖwZwôZ n‡q‡Q| wZwb e‡jb, `ª“ZUv‡b evsjv‡`‡ki AvaywbK wkïmvwn‡Z¨i †h iƒc‡iLv AuvKv nj Zv wbtm‡›`‡n AvaywbK wkïmvwn‡Z¨i wfwË| Gi Ic‡i `uvwo‡qB M‡o DV‡e evsjv‡`‡ki AvaywbKZvi wkïmvwnZ¨| m¤¢vebvi we¯—vi NU‡e GBmec_ w`‡qB G Avkv Avgiv wbðqB Ki‡Z cvwi|
Av‡jvPK AvbRxi wjUb e‡jb, evsjv‡`‡ki gyw³hy× wkïmvwn‡Z¨i Mwe©Z Ask| G‡`‡ki wkïmvwn‡Z¨ gyw³hy×, †`k‡cÖg, cÖK…wZ, f~‡Zi Mí cÖf„wZ PgrKvifv‡e D‡V G‡m‡Q| wZwb e‡jb, wkïmvwn‡Z¨i fvÊvi n‡jv wkïwelqK cwÎKv| evsjv wkïmvwn‡Z¨i MwZ cÖK…wZ wbg©v‡Y †ivKby¾vgvb Lv‡bi Ae`vb Acwimxg| wkï cwÎKvi ¸YMZgvb I msL¨v e„w× Kiv cÖ‡qvRb| wZwb AviI e‡jb, wkï mvwnZ¨‡K mg„× Kivi Rb¨ cÖwZwôZ †jLK‡`i m‡PZb I `vqe×fv‡e GwM‡q Avm‡Z n‡e| ïay eo‡`i Rb¨ wjL‡jB Pj‡e bv|
Aa¨vcK Lv‡j` †nvmvBb e‡jb, evsjv wkïmvwnZ¨ n‡jv gvwUi g„wËKv i‡m RvwiZ mvwnZ¨| †jvKmvwn‡Z¨i mv‡_ wkïmvwnZ¨ GKvKvi n‡q Av‡Q| †Kv‡bv gnr mvwnZ¨B HwZn¨wew”Qbœ bq| wZwb e‡jb, Qov gv I gvwUi ggZv †_‡K DrmvwiZ| Qov †jvKvqZ Rxeb‡K AvZ¥xK…Z K‡i| evsjv‡`‡ki Qov mvwn‡Z¨i †Rvqvi G‡mwQj ¯^vaxbZv hy‡×i c‡i| wZwb AviI e‡jb, wkïi cÖwZ, †`k I gvby‡li cÖwZ fvjevmv I `vqe×ZvB evsjv‡`k‡K †cuŠ‡Q †`‡e m¤¢vebvi mg„× wkL‡i|
Rbve Avjg ZvjyK`vi e‡jb, wkïi g‡a¨ jywK‡q Av‡Q mKj m¤¢vebv| wkï Av‡Q e‡jB c„w_ex my›`i| wZwb e‡jb, wkïmvwn‡Z¨i m¤¢vebv‡K LuyR‡Z n‡j wkK‡o †h‡Z n‡e| wZwb e‡jb, wkïi gvbwmK weKv‡ki Rb¨ bvbvgyLx Av‡qvR‡bi g‡a¨ Qov Ab¨Zg| wkïi weKv‡ki Rb¨ Qovi welqe¯‘‡K AZ¨š— mywbcyYfv‡e wba©viY Ki‡Z n‡e|
Rbve Avey mv‡jn e‡jb, wkïmvwnZ¨ I QovmvwnZ¨ iPbv †Kv‡bv mnRmva¨ welq bq| Qov †Kv‡bv bb‡mÝ ivBg bq| Qovi BwZnvm Av‡Q| Qovi g‡a¨ Avb›`, †e`bv, †¶vf, we`ªƒc I civgk© Av‡Q| wZwb e‡jb, Qov I wkïmvwnZ¨‡K DbœZgv‡bi mvwnZ¨ wn‡m‡e ¯^xK…wZ w`‡Z A‡b‡Ki g‡a¨ DbœvwmKZv KvR K‡i hv nxbgb¨Zvi kvwgj| wZwb AviI e‡jb, ÁvbwfwËK mgvR MV‡bi Rb¨ QovmvwnZ¨‡K GwM‡q wb‡q †h‡Z n‡e|
mfvcwZi fvl‡Y Rbve Av‡bvqviv ˆmq` nK e‡jb, Avgv‡`i †`‡k huviv wkï‡Zvl mvwnZ¨ iPbv K‡ib Zuv‡`i‡K wkïmvwnwZ¨K e‡j AeÁv Kiv nq, aª“c`x mvwnwZ¨K‡`i mgK¶ fvev nq bv| GB ¶z`ª `„wófw½i cwieZ©b nIqv DwPZ| wZwb e‡jb, mv_©K wkïmvwnZ¨ †mUvB hv c‡o wkï-wK‡kvi-e„× wbwe©‡k‡l meviB fvj jv‡M|
mܨvq mvs¯‹…wZK Abyôv‡b Ave„wË, b„Z¨ I m½xZ cwi‡ekb K‡i mvs¯‹…wZK msMVb ÔK_v jwjZKjv GKv‡WgxÕ, ÔAvIqvgx mvs¯‹…wZK †dvivgÕ Ges Ô†ebyKv jwjZKjv †K›`ªÕ|
AvMvgxKv‡ji Abyôvbm~wP :
05.11.1415/17.02.2009 \ g½jevi \
we‡Kj 4:00Uv : m~Pbv m½xZ
Av‡jvPbv Abyôvb : m¤¢vebvi evsjv‡`k : cÖeÜ-M‡elYv
cÖeÜ : kvš—by Kvqmvi (gywk©`ywÏb Avn¤§`)
Av‡jvPK : wkcÖv iw¶Z `w¯—`vi, wek¦wRr †Nvl, wgRvbyi ingvb DccwiPvjK
mfvcwZ : Aveyj Kv‡mg dRjyj nK
mܨvq : mvs¯‹…wZK Abyôvb
†gjvi mgqm~wP : cÖwZw`b we‡Kj 3Uv †_‡K ivZ 9Uv \ QywUi w`b mKvj 11Uv †_‡K ivZ 9Uv \ 21 †deª“qvwi mKvj 8Uv †_‡K ivZ 10Uv \
wkï cÖni : 27‡k †deª“qvwi †ejv 11:00Uv †_‡K we‡Kj 3:00Uv
Daily Amardesh -ঢাকা, সোমবার ৩০ মে ২০১১, ১৬ জৈষ্ঠ্য ১৪১৭, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৩২ হিজরী
|