সুশীল সমাজের তারা আজ কোথায়?: মির্জা ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হরতালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মত একটি কালো আইন প্রয়োগ হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে সুশীল সমাজের কোনো বক্তব্য নেই। তারা আজ কোথায়? গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্বদেশ পরিষদের আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এমএ মান্নানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, আমার দেশ’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি সেলিম ভুঁইয়া, তাঁতি দলের সহ-সভাপতি মমতাজ উদ্দিন প্রমুখ। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আরেকটি স্বাধীনতা যুদ্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, সংবিধানকে তছনছ করা হয়েছে। বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করা হয়েছে। দেশকে আশ্রিত রাজ্যে পরিণত করার ষড়যন্ত্র চলছে। সব মিলিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব এতটাই অরক্ষিত যে, ’৭১ সালের মত আবারো দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আরেকটি স্বাধীনতা যুদ্ধ করতে হবে।
ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপি নেতা বলেন, দেশের ৫৪টি নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ করে বাংলাদেশকে পরিবেশ বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভারতে আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ মরুভূমি হয়ে যাবে।
এদিকে গতকাল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হরতালে এফডিসির গেটে জাসাসের মিছিলে অংশ নেয়া শিল্পী-সাহিত্যিকদের ওপর হামলাকারী পুলিশের শাস্তি ও গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন।
লিখিত বক্তৃতায় জাসাস সভাপতি এম এ মালেক বলেন, গত ১২ জুন হরতাল চলাকালে তেজগাঁও এফডিসি গেট থেকে শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, নাট্য ও চলচ্চিত্র শিল্পীদের নেতৃত্বে একটি মিছিল কাওরান বাজারের দিকে যাওয়ার সময় হোটেল সোনারগাঁও-এর সামনে বিনা উস্কানিতে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, জাসাস সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক মনির খান, ছড়াকার আবু সালেহ, সঙ্গীত শিল্পী হাসান চৌধুরী, বেবী নাজনীন, রিজিয়া পারভিন, অভিনেতা অমিত হাসান, গীতিকার মনিরুজ্জামান মনিরসহ অনেক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন