রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১১

আমাদের সালেহ ভাই


আমাদের সালেহ ভাই
বিএনপি সরকারের আমল। বর্ষিয়ান ছড়াকার-সাংবাদিক আবু সালেহ ভাই কখোনো বিদেশে যাননি।
বিএনপি সরকারের সঙ্গে তার সখ্যতার সুযোগে সালেহ ভাই একদিন তখনকার সাংস্কৃতিক মন্ত্রী সেলিমা রহমানের কাছে গিয়ে বললেন, ম্যাডাম, শুনেছি আপনি নাকী একটি সাংস্কৃতিক দলকে জাপান পাঠাচ্ছেন। এই দলে আমাকেও নেন। আমি একটু জাপান ঘুরে দেখতে চাই।
সেলিমা রহমান বললেন, কিন্তু সালেহ সাহেব এই টিমে সবাই তো মেয়ে; আমি তো আপনাকে এই টিমে বিদেশে পাঠাতে পারি না।
সালেহ ভাই মাথা চুলকে বলেন, ম্যাডাম, অভয় দিলে বলি, আসলে ৬০ বছর বয়স হলে ছেলে-আর মেয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না!
আবারো সালেহ ভাই
বিএনপি সরকারের সময়। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হলেন পুরনো সাংবাদিক মোজাম্মেল হক। মোজাম্মেল ভাই আবার পান-প্রিয়তার জন্য বিখ্যাত।
তো সালেহ ভাই একদিন মোজাম্মেল ভাইকে নিয়ে একটি ছড়া লিখলেন, সেখানে আবার এরকম একটি পংতি আছে:
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাকী এখন মাতাল মোজাম্মেল!
তো মোজাম্মেল ভাই এ কথা শুনে মহাক্ষিপ্ত। সালেহ ভাইকে এক চোট দেখে নেয়ার জন্য প্রায়ই তিনি প্রেস ক্লাবে ফোন করে জানতে চান, সালেহ ভাই সেখানে এসেছেন কী না। কিন্তু অনেকদিন সালেহ ভাইয়ের কোনো খবর নেই।
একদিন সকালে মোজাম্মেল ভাই প্রেসক্লাবে ফোন করে জানলেন, সালেহ ভাই সেখানে এসেছেন। তরিঘরি করে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে গাড়ি নিয়ে এলেন প্রেসক্লাবে। দেখেন সালেহ ভাই এক জমাট আড্ডায় ব্যস্ত।
মোজাম্মেল ভাই সবার সামনে ওনাকে ধরে বসলেন, আপনি নাকী আমকে নিয়ে ছড়া লিখেছন?
সালেহ ভাই নির্লিপ্ত গলায় বললেন, হুমম…লিখেছি, তো কী হয়েছে? তাছাড়া এটা লেখকের ব্যক্তি স্বাধীনতা। আমি কী নিয়ে ছড়া লিখবো, না লিখবো, সে কৈফিয়ত আমি কাউকে দেবো না!
–দেখুন, আমিও কিন্তু আপনাকে নিয়ে এ রকম ছড়া লিখতে পারি।
-আপনি পারলে লিখুন না; আপনাকে বাধা দিচ্ছে কে?
–আমি এই মুহূর্তেই আপনাকে নিয়ে ছড়া লিখতে পারি।
-আচ্ছা লিখুন তো দেখি!
–শোনেন তাহলে:
ওরে আমার সালেহ
বিএনপি হলি হালে,
তোরে পোঁছে কোন ?ালে!…

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন